Ads

ধনী হতে চাইলে এই ২টি অভ্যাস মেনে চলুন

 

ধনী হতে চাইলে এই ২টি অভ্যাস মেনে চলুন

ধনী হতে চাইলে এই ২টি অভ্যাস মেনে চলুন


জানিনা এ লাইফ আমার কিছু হবে কিনা বিজনেস শুরু করবো কিন্তু টাকা নেই টাকা কে দেবে কোন চাকরি পাচ্ছি না আর আমার তো কোন ডিগ্রীও নেই চাকরিটাই বা কিভাবে পাব না আছে টাকা না আছে গার্লফ্রেন্ড আর গার্লফ্রেন্ড থাকতে গেলেও তো বাইক থাকাটা দরকার মনে হচ্ছে এই লাইফটা বৃথা। এত খারাপ ভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে আসার জন্য কি একা আমিই ছিলাম কি জানি কার কি এত ক্ষতি করেছি যার জন্য লাইফের কোন মূল্যই নেই আমার আপনার মনেও কি এই ধরনের চিন্তাগুলি বারবার আসতে থাকে। যদি সত্যিই এটি আপনার প্রবলেম হয়ে থাকে তাহলে আমি আপনাকে রিকোয়েস্ট করছি এই প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ার।

রাজেশ নামের একটি ছেলে থাকতো যে গ্রামের পাড়ার মোড়ে চা বিক্রি করতো সেটা বানাতে পারলেও দোকানের স্বল্প ইনকামের জন্য তার খাওয়া-দাওয়া এবং এবং তার সংসার ঠিক মতো চলত না তাই অনেক ভাবনাচিন্তার পর সে সিদ্ধান্ত নিল শহরের বড় কোন কোম্পানিতে গিয়ে সে চা বানানোর কাজ করবে। সেই মতই একটি বড় কোম্পানিতে গিয়ে ইন্টারভিউ দিল তার তৈরি করার চা খেয়ে সবাই তার প্রশংসা করলেন এরপর ওই কোম্পানি থেকেই জানতে চাইল যে তার কাছে কোন ইমেইল এড্রেস আছে।

রাজেশ জবাব দিলে না তার কাছে তো কোন ইমেইল এড্রেস নেই কারণ গ্রামের ছেলে। সেসব সম্পর্কে তখন বিশেষ কিছু জানতোই না তখন তাকে বলা হল যে ইমেইল এড্রেস ছাড়া তার সঙ্গে অফিশিয়ালি কাজ করা সম্ভব নয় এবং এই কারণেই তাকে এই কাজ থেকে রিজেক্ট করা হয়। বাইরে এসে নিজেকে দোষ দিতে লাগল যে আমার কাছে একটা ইমেইল এড্রেস কেন নেই কারণ ইমেইল এড্রেস থাকলে এই চাকরিটা পেয়ে যেত।

তারপর রাস্তার ধারে এক বক্তিকে স্যবজি বিক্রি করতে দেখল আর ভাবলো রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর থেকে তো এটা ভালো যে কিছুদিন সবজি বিক্রি করা যায়। আর এভাবেই সে সবজির বিক্রি করতে থাকলো কয়েকবছর এভাবে কাজ করার পর সে নিজের আরো একটা দোকান খুলে ফেলল। এভাবেই আরো কয়েক বছর কাজ করার পর সে কোটিপতি হয়ে উঠল।

ধনী হতে চাইলে এই ২টি অভ্যাস মেনে চলুন

এরপরই একদিন এক রিপোর্টার তার ইন্টারভিউ নিতে এল এবং ইন্টারভিউ শেষ করার পর সেই রিপোর্টের বললেন স্যার আমি কি আপনার ইমেইল এড্রেসটা পেতে পারি। তখন কিশোর রিপোর্টারকে জবাব দিল হারে মশাই এই ইমেইল এড্রেস না থাকার কারণেই তো আজ আমি এই স্থানে পৌঁছাতে পেরেছি। কারণ যদি আমার ইমেইল এড্রেস থাকতো তাহলে তো সে আজও ওই কোম্পানিতে কাজ করত তো।

বন্ধুরা এই ছোটগল্পটি থেকে আমরা আমাদের জীবনে এপ্লাই করার জন্য দুটি খুবই মূল্যবান হবিট সম্পর্কে জানতে পারলাম নাম্বার ১ আফসোস না করা আমরা জীবনের যেকোন সিচুয়েশনে আফসোস করি যেমন আমার টাকা নেই তাই আমি ব্যবসা করতে পারছিনা বাইক নেই তাই কোন মেয়েকে ইমপ্রেস করতে পারছিনা কিন্তু হতে পারে যে আপনাদের এই ছোট ছোট অভাব যার জন্য আপনি নিজের জীবনকে দোষ দিচ্ছেন সেই সব ছোটখাটো অভাবী হয়তো একদিন আপনার লাইফের সবথেকে বড় সাফল্যের কারণ হয়ে উঠবে।

আরো পড়ুন: 

নাম্বার ২ অ্যাকশন নেওয়া বেশিরভাগ মানুষ ব্যর্থ হয়ে যায় কারণ ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জন মানুষের লাইফে অনেক চিন্তা-ভাবনা করার পরও কখনোই একশন নেয় না। যে কাজটা করতে চায় সেই কাজটি শুরু করে না যেমন এই গল্পে যদি কিশোর তার চাকরিটা না পাওয়ার পর সে আবার গ্রামে চলে যেত তাহলে সাফল্যের কোন চান্সই ছিল না। কারণ নিজের ব্যর্থতার ভেঙে পড়ে হাল ছেড়ে না দিয়ে সেই ইমিডিয়েট একসান নিয়েছে পরবর্তী কাজটি শুরু করার জন্য।

তাই আমাদের কেউ কোন কিছু না থাকার অভাবে আফসোস করা ছেড়ে লাইক পজেটিভ নজরে দেখে ইমিডিয়েট একসান নিতে হবে পরবর্তী কাজের দিকে কারণ বাড়িতে বসে আফসোস করার চিন্তা করে কখনোই আব্দুল কালাম সন্দীপ মহেশ্বরী কিংবা বিল গেটস এর মত একজন বড় মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। বন্ধুরা এই প্রতিবেদনটি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমাদেরকে উৎসাহিত করুন আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে তাদেরকেও লাইফের সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন আপনার মনের সমস্ত কথা মন খুলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানান ধন্যবাদ ।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ