Ads

ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ কিছু টিপস

 

ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ কিছু টিপস

ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ কিছু টিপস

ঘাম এবং ঘামের দুর্গন্ধ এই ভেবসা গরম, এবং এর সাথে বাতাসের আর্দ্রতা, তাই ঘাম হওয়া স্বাভাবিক।

আমাদের শরীরের তাপমাত্রা এক এক সময় পরিবর্তিত হয়।

তাই এই বিভিন্ন তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষায় ঘামের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের শরীর ঘাম শুকাতে অতিরিক্ত তাপ ত্যাগ করে। যা আমাদের শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে। তাই এই গরম কালে ঘামের দুর্গন্ধ হয়া স্বাভাবিক।

আমাদের ত্বকের ওপরে লোমকূপে এক ধরনের ব্যাক্টিরিয়া থাকে যা ঘাম সৃষ্টি করে।

আর এই ঘামের দুর্গন্ধই আমাদের অনেক সময় লজ্জায় ফেলে দেয়।

যখন আপনি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে গেছেন বা কর্মক্ষেত্রে কোন সেমিনারে গেছেন, বা যেকোনো ভিরের মধ্যে প্রবেশ করলে। তখনই গরমে আপনার শরীর ঘামতে শুরু করে। তাই ঘামের গন্ধে আপনাকে লজ্জা পেতে হবে।

তাই আজকে এই প্রতিবেদনে অতিরিক্ত ঘাম এবং ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে এখানে কিছু সহজ টিপস আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো ।

যা অনুসরণ করলে ঘাম ও ঘামের দুর্গন্ধ সহজেই চলে যাবে।

১. মসলাযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন।

অতিরিক্ত ঘাম এবং ঘামের গন্ধ এড়ানোর জন্য, প্রথমে আমাদের খাওয়া -দাওয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ফাস্টফুড, মসলাযুক্ত খাবার এবং তৈলাক্ত খাবার যত কম রাখতে পারবেন ততই ভালো।

এই ধরনের খাবার শরীরে প্রবল তাপ উৎপন্ন করে, তাই শরীর তাপ কমাতে ঘামতে থাকে।

প্রোটিন যুক্ত খাবারও শরীরে পর্যাপ্ত তাপ উৎপন্ন করে। তাই খাদ্য থেকে অতিরিক্ত প্রোটিন খাবারের প্রয়োজন বাদ দিন।

ক্যাফিনযুক্ত খাবার বাদ দিন যা শরীরকে উত্তপ্ত করে।

পরিবর্তে, সহজে হজমযোগ্য ফল, শাকসবজি এবং হালকা খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।

প্রতিদিন খাবার এবং পরিমাণ মতো জল পান করুন, এর ফলে শরীর সহজে গরম হবে না, ফলে অতিরিক্ত ঘাম হবে না।

২. হালকা রঙের কাপড় পরার চেষ্টা করুন

গাঢ় রঙের পোশাক তাপ বৃদ্ধি করে। তাই গাঢ় রঙের পোশাক যত বেশী পরবেন,

আপনার শরীর তার চারপাশের অতিরিক্ত তাপ শোষণ করবে। ফলে ঘামও নিশ্চিত।

তাই দিনের বেলায় হালকা রঙের পোশাক পরার চেষ্টা করুন। কোন হালকা রঙের শার্ট

এটি তাপ প্রতিফলিত করে সঠিক শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

কিন্তু অনুষ্ঠানে যেতে হলে ফ্যাশনেবল পোশাক পরতেই হবে যা হালকা রঙের নয়। সেই ক্ষেত্রে ভিতরে গেঞ্জি পরুন।

এটি আপনার ঘাম শুষে নেবে এবং বের হতে দেবে না।

৩. মানসিক চাপ নেবেন না।

খুব বেশি মানসিক চাপ নেওয়া শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়।

তবে আপনার এটি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাও রয়েছে।

আপনি যত বেশি মানসিক চাপ গ্রহণ করবেন, তত বেশি স্ট্রেস হরমোন শরীর থেকে ক্ষরণ হবে

যার কারণে আপনার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। আর এর ফলে ঘাম হবে নিশ্চিত ভাবে।

প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করুন, কারণ আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাহলে সব দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ নিজে থেকেই চলে যাবে এবং আপনার মন সারাদিন চিন্তামুক্ত থাকবে।

এর ফলে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমাবে, যার ফলে শরীরে ঘাম কম উৎপাদন করবে।

৪. রাতে antiperspirant ব্যবহার করুন।

আরো পড়ুন : 

ঘাম এবং ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে রাতে অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট ( antiperspirant ) ব্যবহার করুন

কারণ লোমকূপে গিয়ে কাজ করতে কিছুটা সময় নেয়।

রাতে আমাদের শরীর ঠান্ডা থাকায় এটি ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন

সপ্তাহে এক রাতে এটি ব্যবহার করে দেখুন, এবং আপনি লক্ষ্য করবেন যে আপনার ঘামের গন্ধ আগের তুলনায় অনেক কম।

তাই রাতে ব্যবহার করুন, সকালে বাড়ি থেকে বেরোবর সময় নয়।

খুব প্রয়োজন ছাড়া রোদে বাইরে না যাওয়াই ভালো।

দিনের বেশিরভাগ সময় একটি ছায়াময় স্থানে থাকার চেষ্টা করুন এবং উচ্চ তাপমাত্রা এড়িয়ে চলুন।

সকালে জানালার পর্দা টেনে দিন যাতে বাইরের সূর্যের আলো ঘরে না আসে এবং ঘরের তাপমাত্রা না বারে।

আপনি যত বেশি আপনার শরীরকে তাপ থেকে রক্ষা করবেন, ততই আপনার ঘাম কম হবে এবং এতে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাবেন।

বন্ধুরা এই প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ!



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ