Ads

পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর ৩টি বিজ্ঞানসম্মত উপায়

পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায়

পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর ৩টি বিজ্ঞানসম্মত উপায়


পেটের মেদ বা চর্বি হলে যেমন কষ্ট হয় তেমনি নষ্ট হয় সৌন্দর্য অনেকে আছেন খুব বেশি মোটা না । কিন্তু পেটে অনেক মেদ দেহের কিছু কিছু স্থানে মেদ জমে খুবই অসুস্থ বোধ করেন কোন ভালো পোশাক পড়লেও ভালো লাগে না এ ছাড়াও অতিরিক্ত পেটের চর্বি আপনার হূদরোগ, টাইপ টু ডায়াবেটিস, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে আপনার পেটের আকার বাড়ার সাথে সাথে আপনার শরীরের টেস্টোস্টেরন ইনসুলিন লেপটিন এবং হিরোইনের মত হরমোন গুলির উপর বিভিন্ন ইফেক্ট পড়তে থাকে ।



আপনি খুব সহজেই চর্বিকে দেহের সঞ্চয় করে রাখতে পারবেন কিন্তু এটাকে চাইলেই বিদায় করতে পারবেন না আর এটি যতদিন যাবে আপনার ভেতর নানা সমস্যার তৈরি করতে থাকবে তবে সুসংবাদ হচ্ছে কয়েকটি বিষয় পরিবর্তন করে আপনি আপনার এই পুরো পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন আজকের এই প্রতিবেদনে কার্যকরী তিনটি বিষয় থাকছে প্রথমে থাকছে বৃটেনের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এ বিষয়ে কিছু টিপস দ্বিতীয়তঃ থাকছে প্রতিদিনের ডায়েট চার্ট এবং তিন নম্বরের থাকছে মেদ কমানোর কার্যকরী কিছু এক্সারসাইজ একটু সময় নিয়ে পুরো প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পরুন।



১. বৃটেনের স্বাস্থ্য বিভাগ এ বিষয়ে কি বলছে সকালে খালি পেটে লেবু মধু পানি পান করুন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে লেবুপানি পান খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি বিশেষ করে যারা পেটের চর্বি কমাতে চান। তবে সাথে কিছু জিনিস লক্ষ্য রাখতে হবে সকালে খালি পেটে লেবু মধু পানি পান করার সাথে সাথে দরকার সঠিক ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি এই পানীয় পান করা এতে আপনার ওজন কমবে। আবার অস্বাস্থ্যকর খাবার বা অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত খাবার খেয়ে লেবু মধু পানি খেলে কোন ফলে আসবেনা। গবেষণায় দেখা গেছে সকালে খালি পেটে ৪০০ মিলি লিটার পানি খেলে তা বিপাক ক্রিয়ার হার বাড়িয়ে দেয় যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কমাতে সহায়তা করে ।



সাধারণত সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে বা রাতে ঘুমানোর আগে এই পানীয় পান করা যেতে পারে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে 2 চা চামচ লেবুর রস এবং এক চা চামচ বা তার অধিক মধু মিশিয়ে সেই পানি তৈরি করা যায়। সকালের টিফিন বাদ দেয়া যাবেনা সকালের খাবার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার বলা হলেও ঘুম থেকে উঠে নানা কারণে আমরা অনেক সময় নাস্তা না করেই দিন শুরু করি। কিন্তু যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগে নির্যাস বলছে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কখনোই সকালের নাস্তা বাদ দেয়া উচিত নয় যারা সকালে নাস্তা খায় তাদের ওজন দ্রুত কমে। আপনি যদি দুপুরের খাবারের সময় সকালের নাস্তা খান তাহলে অনেক বেশি ক্ষুধার্থ থাকবেন তখন অনেক বেশি খাওয়া হয় এর ফলে ওজন বাড়ে ।



আরো পড়ুনশত্রুদেরকে ভালোবাসা উচিত এই ৫ টি কারনে


ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওটমিল প্রতিদিন সকালের নাস্তায় যদি ওটমিল খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে দ্বিগুণ হারে সাহায্য করবে কারণ ওটস মিল জাতীয় খাবার সকালের নাস্তায় খেলে দীর্ঘক্ষন ক্ষুধাবোধ হয় না ফলে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ওজন বাড়ে ফেলার সম্ভাবনা কমে যায়। এছাড়াও ওটমিল হাটের সুস্থতা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস সহ নানা পুষ্টি উপাদান তার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রতিদিনের মিরাক্লে ৩০৭ ক্যালরি এনার্জি পাওয়া সম্ভব তো বুঝতেই পারছেন যাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাদের জন্য এই খাবারটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।



২. নির্দিষ্ট সময় খাওয়ার অভ্যাস করা। একটা ভুল ধারণা অনেকের মধ্যে প্রচলিত আছে যে দুপুরে বা রাতে না খেলে ওজন কমে কিন্তু কোন এক বেলা খাবার না খেলে যেমন শারীরিকভাবে দুর্বল বোধ করা বা পুষ্টি ঘাটতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তেমনি ক্ষুধার কারণে চর্বিযুক্ত বা চিনিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় আসলে দ্রুতহারে ক্যালিবান করতে চাইলে কোন বেলার খাবার বাদ না দিয়ে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া উচিত।



নির্দিষ্ট সময় খেলে শরীরের হজম শক্তি এবং অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ হয়। এই অভ্যাসের ফলে শরীরে ইনসুলিন কলেট্রল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এবার চলুন একটি পারফেক্ট ডায়েট প্ল্যান চার্ট সম্পর্কে জেনে নেই আপনি যদি সত্যিই আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে চ্যাটে বলা বিষয়গুলো ফলো করুন মাত্র ২১ দিন । এই নিয়ম ফলো করলেই এর ফলাফল টা আপনি নিজে চোখে দেখতে পাবেন।



প্রথমে সকালে খালি পেটে লেবু মধু পানি পান করার এক ঘন্টা পর চাইলে আপনি দুধ ছাড়া চা বা কফি খেতে পারেন। এরপর দুটো আটার রুটি একবাটি সবজি সিদ্ধ এবং এক বাটি কাঁচা শসা পাশাপাশি এর সাথে ওটমিল খেতে পারেন উপরে একটি ডিমের সাদা অংশ ও টক জাতীয় ফল খেতে পারেন। দুপুরের খাবারে এক কাপ পরিমান ভাত এক বাটি সবজি মাংস অথবা মাছ ১ টুকরো ডাল এবং সালাদ খেতে পারেন। বিকেলে মুড়ি বা বিস্কুট খেতে পারেন পাশাপাশি যেকোনো এক ধরনের ফল খাবেন যেমন কমলা, আপেল, আম যেকোন একটি।


আরো পড়ুনসারাজীবন বোকা না থেকে মানুষ চিনুন এই ৬ উপায়ে


সন্ধ্যার দিকে একটা গ্রিন টি পাউরুটি এক পিস অথবা বিস্কুট 2টা রাতে ৩ পিস রুটি সঙ্গে সবুজ শাক সবজি আর মাছ এগুলোর সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে বেশি মাত্রায় পানি পান করলে আপনার ওজন কমে যাবে এমনটা নয় কিন্তু মানুষ অনেক সময় ক্ষুধা এবং তৃষ্ণার মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না আর সেরকম সময় অতিরিক্ত মাত্রায় অনেকেই স্নাক্স গ্রহণ করে থাকে ফলে শেষ পর্যন্ত অনেক ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়ে যায় অতিরিক্ত ক্যালোরি তাই সময় ছাড়া ক্ষুধা পেলে পানি পান করুন।



৩. এবার চলুন অতিরিক্ত ওজন কমাতে কার্যকরী কিছু এক্সারসাইজ সম্পর্কে জেনে নেই আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করি সকালবেলা একটু হাঁটলে বা দৌড়ালে শরীরের মেদ কমে যাবে কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল। গবেষণায় পাওয়া যায় সাধারণ এক্সারসাইজ আপনার শরীরকে সচল করতে পারে তবে এটি আপনার শরীরে বারতি মেদ কমাতে পারে না। সুতরাং আপনাকে কিছু টার্গেটেড এক্সারসাইজ করতে হবে জিমে যাওয়ার সময় না পেলে ঘরে বসেই এগুলো করতে পারবেন। নিচে দেয়া এই ব্যাম গুলো নিয়মিত করুন।


পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর ৩টি বিজ্ঞানসম্মত উপায়


এই ব্যম গুলো নিয়মিত করলে শরীরে জমে থাকা বাড়তি মেদ ধীরে ধীরে মাসেল রূপান্তরিত করে দেয় এই এক্সারসাইজ করার সময় ক্যালরি বার্ন হয় অন্যান্য এক্সারসাইজের চেয়ে অনেক বেশি। সর্বোপরি ওজন কমানোর জন্য আপনার থাকতে হবে ১০০% পারসেন ইচ্ছে শক্তি এবং ধৈর্য পাশাপাশি ডায়েট চার্ট মেনে চলা আর এক্সারসাইজ গুলো ফলো করা তো আর দেরি কেন আজ থেকেই শুরু করুন আর হয়ে উঠুন সবার থেকে আকর্ষণীয় ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ