Ads

কি ঘটবে যদি প্রতিদিন ৩টি ডিম খাওয়া শুরু করেন?


কি ঘটবে যদি প্রতিদিন ৩টি ডিম খাওয়া শুরু করেন?


হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালোই আছেন তো আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হলো প্রতিদিন দুটি করে ডিম খেলে কি হয় শরীরকে সুস্থ রাখতে ডিম খাওয়া জরুরি।


কিছু বছর আগে পর্যন্ত মনে করা হতো বেশি ডিম খাওয়া শরীরের পক্ষে একদমই ভালো নয় আজকাল অনেকেই ডিম খান না। এর কারণ কেউ ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে কেউ আবার রক্তে চর্বির পরিমাণ কম রাখতে কেউবা হৃদরোগকে ভয় পেয়ে। কিন্তু আসলেই ডিম মেদ বাড়ায় না এই ধারণা ইতিমধ্যেই ভুল প্রমাণিত হয়েছে । উল্টে চিকিৎসকরা বলছেন প্রতিদিন একটি নয় বরং দুই থেকে তিনটি করে ডিম খান দেখবেন একাধিক রোগের প্রকোপ একেবারেই কমে যাবে।


উপস্থিত একাধিক পুষ্টি উপাদান এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আজকের প্রতিবেদনে আমরা জানবো প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি ডিম খেলে পারে কি ঘটবে আপনার শরীরের। একাধিক গবেষণার পর প্রমাণিত হয়েছে দিনে দুই থেকে তিনটি করে ডিম খাওয়া জরুরি একটি ডিমে রয়েছে ৬.৫ গ্রাম প্রোটিন বা ৭০ থেকে ৮০ ক্যালোরি যা রোজগার প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে ফলে শরীরে কখনো পুষ্টির অভাব হয়না।


ছোট্ট একটি ডিম হাজারো ভিটামিনে ভরা এর ভিটামিন বি আপনি যা যাচ্ছেন সেই খাবারকে এনার্জি বা শক্তিতে রূপান্তর করতে সাহায্য করে এর মধ্যে আছে ভিটামিন এ যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে বয়স কালে চোখের অপারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায় এই একই উপাদান চোখের ছানি কমাতেও সাহায্য করে। কেবলমাত্র ডিমে রয়েছে ভিটামিন যা শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করে ডিমে আছে ভিটামিন ই এবং ত্বকে উৎপন্ন ফ্রিরেডিকেল নষ্ট করে দেয় এবং স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।


এছাড়াও পেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ডিমের সবচেয়ে বড় গ্রন্থি ওজন কমাতেও সাহায্য করবে ব্রেকফাস্ট মানে আপনার সারাদিন ক্ষুধা কম লাগবে এবং খাওয়া হবে কম ডিমে আছে আয়রন জিংক ফরাস যা মেয়েদের পিরিয়ডের সময় অনেক সময় এনিমিয়া দেখা দেয়। শরীর তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে ডিমের মধ্যে থাকা আয়রন মেটাতে পারে সহজেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় প্রত্যেক নারীর শরীরের কমপক্ষে ৫০ গ্রাম প্রোটিনের দরকার।


একটি ডিমে থাকে ৭০ থেকে ৮০ ক্যালোরি ৬.৫ গ্রাম প্রোটিন সুতরাং খেতেই পারেন সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ডিম খেলে প্রায় ৪৪ শতাংশ ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন হৃদপিন্ডের রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য আরও একটি জরুরী উপাদানের ঘাটতি হলে অনেক সময় কার্ডিওভাসকুলার লিভারের অসুখ বা নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার দেখা দিতে পারে।


একটি ডিমের প্রায় ৩০০ মাইক্রো গ্রাম থাকে সিস্টেম স্নায়ু ও মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণে রাখে নতুন সমীক্ষায় জানা গিয়েছে ডিম কোলেস্টেরল বাড়ায় না। দিনে দুটো ডিম শরীরে কোনো প্রভাব ফেলে না বরং রক্তে লোহিত কণিকা তৈরি করে ডিমের প্রোটিন শরীর গঠন করে আর প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে। আমাদের শরীর অতি প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড তৈরি করতে পারে না তার জন্য আমাদের প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট নিতে হয়। খাবারের মধ্যে এই প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট হলো ডিম ঝটপট শরীরে প্রোটিন উৎপাদন করতে সক্ষম।


চুল ভেঙে যাচ্ছে নাকি চুলের স্বাস্থ্য একেবারেই বেহাল চোখ বন্ধ করে ডিম খান ডিমের মধ্যে থাকা সালফার ম্যাজিকের মতন আর চুলের মানউন্নত করবে সেদ্ধ ডিমে আছে ভিটামিন টি যাহার ও দাঁত শক্ত করে ভিটামিন ডি খাবার থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে সহায়তা করে এবং রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।


এছাড়াও ডিমের একটি খাদ্য উপাদান হলো ভিটামিন এ ভিটামিন এ রেটিনায় আলো শুষে নিতে সহায়তা করে কর্নিয়ার পাশের মেমব্রেনকে রক্ষা করে এবং রাতকানার ঝুঁকি কমায় প্রতিদিন সকালে একটি সেদ্ধ ডিম খেলে খাবার তালিকায় ৭৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ যুক্ত হয় ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণে কলিং নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে । আমাদের দেহকে সুস্থ রাখে ডিম আমাদের মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে তাছাড়া ডিমের কুসুমে এমন কিছু উপাদান আছে যা আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরের নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে।


আরো পড়ুন২মিনিটে ঘুমিয়ে পড়ার মিলিটারিতে ব্যবহৃত কিছু টেকনিক


এখন চলুন জেনে নেই বয়সভেদে কয়টি ডিম খাওয়া জরুরি শিশুদের ক্ষেত্রে এক বছর বয়সের পর থেকে শিশুকে ডিম খাওয়ানো শুরু করা যেতে পারে ডিমের first-class প্রোটিন শিশুর দেহের ক্ষয়পূরণ ও সঠিক বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। ডিমের কুসুমে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শিশুদের ক্ষেত্রে এক বছর পর থেকে দিনে একটি ডিম এবং তিন বছর বয়সের পর থেকে দুটো ডিম খাওয়া যেতে পারে।


কিশোর বয়সে শরীরের সব পুষ্টি উপাদানের চাহিদা বেড়ে যায় এসময় বিভিন্ন অঙ্গের পরিপক্কতা ও পরিবর্তন হয় এছাড়াও বিভিন্ন হরমোন ও এনজাইমের কার্যকারিতা বেড়ে যায় শরীরের গ্রোথ হরমোন বাড়ানো থেকে শুরু করে লেখাপড়া মনোযোগী হওয়ার জন্য সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য যত্ন খুবই জরুরি এ ক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় ডিম রাখা হলে তার দৈনিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে সাহায্য করে ।


পুরো টিনএজ বয়সে দিনে দুই থেকে তিনটি ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যকর একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি সারাদিনে দুটো ডিম এবং আরো একটি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এছাড়া প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের অনেক সময় বিভিন্ন হরমোনাল ইমব্যালেন্স দেখা যায় ডিমের প্রোটিন এই হরমোন এবং বিভিন্ন এর কার্যকারিতা ঠিক রাখতে সহায়তা করে তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে ডিম খেতে পারেন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ