সৌন্দর্য রক্ষায় টুথপেস্ট এর ব্যবহার

টুথপেস্টের এই ব্যবহারগুলি সম্পর্কে জানুন।  গোলাপী কালো ঠোঁট, ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ এবং ব্রণর দাগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায় মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে।

দাঁতের যত্নে টুথপেস্ট একটি খুব কার্যকর উপাদান।  তবে আমরা সৌন্দর্যে টুথপেস্ট নিয়ে কথা বললে অনেকেই অবাক হতে পারেন।  বন্ধুরা টুথপেস্টের সঠিক ব্যবহার জানলে এটি ত্বকে ব্যবহার করা অবাক হওয়ার কিছু নেই, এটি আমাদের ত্বকে খুব কার্যকর প্রভাব ফেলে।  যেমন আমাদের ত্বক থেকে বাদামী এবং কালো দাগ, ব্ল্যাকহেডস অপসারণ করতে টুথপেষ্ট খুব উপকারী।  নোংরা ফ্যাকাশে কালো ঠোঁট সম্পূর্ণ গোলাপী এবং মসৃণ করতে টুথপেষ্ট খুব কার্যকর।  তাই আসুন দেখে নেওয়া যাক কালো ঠোঁট গোলাপী, ত্বকের ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ এবং ব্রণর দাগ দূর করার জন্য টুথপেস্টের সঠিক ব্যবহার। 

কালো ঠোঁট গোলাপী করতে টুথপেস্ট ব্যবহার করুন

টুথপেস্ট কালো এবং নোংরা ঠোঁটকে অত্যন্ত চকচকে এবং গোলাপী করতে খুব কার্যকর।

ঠোঁট গোলাপী করতে টুথপেস্টের দুটি ব্যবহার নীচে দেওয়া হয়েছে

  প্রথম পদ্ধতি:

 সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করার পরে হাতে ১ চা চামচ টুথপেস্ট নিন। আঙ্গুলের সাহায্যে ঠোঁটে পেস্টটি লাগান। ৩ থেকে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।

তারপরে নরম পাতলা ব্রাশ দিয়ে কমপক্ষে তিন মিনিটের জন্য আপনার ঠোঁটটি আলতো করে ঘষুন। অবশেষে ঠোঁট পরিষ্কার করুন।

নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ঠোঁট পুরো গোলাপী করে তুলবে।

 দ্বিতীয় পদ্ধতি

 প্রথমে টুথপেস্ট এবং কিছু কার্যকর মিশ্রণ দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন

•   টুথপেস্ট ১চা চামচ


•   আধা চা চামচ মধু


•   এক চামচ চিনি

 প্রথমে উপাদানগুলি ভালভাবে মিশ্রিত করুন।

আপনার ঠোঁটে প্রয়োগ করুন এবং কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন। তারপরে ব্রাশ দিয়ে পুরো ঠোঁটটি আলতো করে ঘষুন।

এভাবে ৫ মিনিট স্ক্রাব করার পরে এটি ঠান্ডা জলে ধুয়ে পরিষ্কার করুন।

সৌন্দর্য রক্ষায় টুথপেস্ট এর ব্যবহার

  মনোযোগ দিন:

রঙিন টুথপেস্ট ব্যবহারের পরিবর্তে কলগেটের মতো সাদা টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।

ঠোঁট ব্রাশ দিয়ে মালিশ করার সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করবেন না।

দ্রুত এবং চকচকে ঠোঁট পেতে নিয়মিত টুথপেস্ট পদ্ধতি ব্যবহার করুন

ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ এবং ব্রণর দাগ দূর করতে টুথপেস্টের ব্যবহার

নীচে ত্বকের ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ এবং ব্রণর দাগ দূর করতে ৩ টি কার্যকর টুথপেস্ট মিশ্রণের একটি তালিকা রয়েছে

•   লেবু এবং টুথপেস্ট


•   টুথপেস্ট ১ চা চামচ


•   লেবুর রস ১ চা চামচ

ভালো করে মেশান এবং প্রথম মিশ্রণটি তৈরি করুন।

 আপনি যদি চান, আপনি এটি লেবুকে ২ টুকরা কেটে হাফ লেবুর ওপর  মাজন দিয়ে আপনার মুখের উপর স্ক্রাব করতে পারেন। প্রাকৃতিক ব্লিচ আকারে লেবু মুখের কালো দাগ এবং ব্রণ এবং ব্রণর দাগ দূর করতে খুব কার্যকর তাই এই মিশ্রণটি খুব উপকারী।

আরো পড়ুন - কিভাবে বাড়িতে বসে প্রাকৃতিক ভাবে চুল স্ট্রেট করা যায়

  টুথপেস্ট এবং গমের আটার ব্যবহার 

টথপেস্টের এই মিশ্রণটি ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ এবং ব্রণর দাগ দূর করে মুখের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়াতে খুব কার্যকর।

•   টুথপেস্ট ১ চা চামচ


•   ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল


•   একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল


•   এক চামচ ছোলা আটা ( বেশন ) 

 একটি পরিষ্কার পাত্রে উপাদানগুলি নিয়ে নিন এবং একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন।

  টুথপেস্টের এই মিশ্রণটি ব্যবহার করে আপনি খুব ভালো ফলাফল পাবন। আর নিয়মিত মিশ্রণটি ব্যবহারের করলে ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ এবং ব্রণর দাগগুলি আপনার ত্বক থেকে খুব সহজেই পুরোপুরি মুছে যাবে। 

এছাড়াও ব্ল্যাকহেডস, এবং ব্রণর দাগগুলি দূর করতে এই উপাদান  গুলো ব্যবহার করতে পারেন। 

টুথপেস্ট এবং চালের গুঁড়ো ব্যবহার

•   ১ চা চামচটুথপেস্ট


•   ১ চা চামচ চালের গুঁড়া


•   ২ চা চামচ টমেটো রস


•   আধা চা চামচ মধু

কীভাবে ত্বকে মিশ্রণটি ব্যবহার করবেন

পরিষ্কার পাত্রে উপকরণগুলি ভালভাবে মিশিয়ে মিশ্রণটি তৈরি করুন । প্রথমত আপনার ত্বক ভালভাবে পরিষ্কার করুন।

হাতের সাহায্যে মিশ্রণটি মুখে ভাল করে স্ক্রাব করুন। ৫ থেকে ৭ মিনিটের জন্য স্ক্রাব করুন।

 ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য শুকানো হতে দিন। অবশেষে ঠান্ডা পরিষ্কার জলে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন।

আরো পড়ুন - ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ কিছু টিপস

মনোযোগ দিন

আপনার ত্বকে যদি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তবে টুথপেস্ট বা অন্যান্য উপাদান ব্যবহার বন্ধ করুন।

আপনি যদি টুথপেস্ট নির্বাচন করার সময় সাদা টুথপেস্ট ব্যবহার করেন তবে আরও ভাল ফলাফল পাবেন।

 টুথপেস্টের মিশ্রণটি প্রয়োগ করে রোদ এবং ধুলাবালি জায়গায় যাবেন না।

 ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ এবং ব্রণর দাগগুলি দ্রুত দূর করতে নিয়মিত টুথপেস্ট মিশ্রণ ব্যবহার করুন।

  টুথপেষ্ট দাঁতের, ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটের যত্নেও অত্যন্ত কার্যকর  ঘরে বসে মিশ্রণটি তৈরি করে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন  সুতরাং আমাদের নির্দেশিকা অনুসরণ করুন এবং ব্ল্যাকহেডস এবং দোগমুক্ত ত্বক  ও গোলাপী ঠোঁট পন বন্ধুরা প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ!