চশমা থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়
এখনকার দিনে যেকোনো বয়সে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে এর বেশকিছু কারন হতে পারে যেমন খাবারে পুষ্টির অভাব, কম্পিউটার, মোবাইল, টিভি এবং দূষণের কাজ করার কারণে এমনকি খুব অল্প বয়সী শিশুরাও তাদের চোখে চশমা পান। এ কারণে তাদের দৃষ্টিশক্তি অদৃশ্য হতে শুরু করে এবং অল্প বয়স থেকেই চশমার ব্যবহার করতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে চোখের অপারেশন বা ওষুধ ব্যবহার করলে দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসে না।
চোখের দুর্বলতার কারণ
১. টেলিভিশন, কম্পিউটারের খুব কাছে বসে দেখা ।
২. স্বাস্থ্যকর খাবার না খায়া।
৩. খুব গরম বা খুব ঠান্ডা খাবার খাওয়ার ফলেও আমাদের চোখ প্রভাবিত হয়।
৫. চোখের জন্য অতিরিক্ত মাত্রায় চায়ের ব্যবহারও ক্ষতিকারক।
৬. উঁচু হিলের জুতো পরলে চোখের আলোও হ্রাস পায়।
৭. স্বল্প আলোতে পড়াশোনা করা।
৮. বাতাসে ক্ষতিকারক দূষকগুলির সংস্পর্শে আসা ।
চোখের দুর্বলতার লক্ষণ
১. বস্তুর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করার সময় চোখের পেশীগুলিতে স্ট্রেস।
২. চোখে অতিরিক্ত স্ট্রেস পেশী দুর্বল করে দেয়।
৩. অস্পষ্ট দৃষ্টি
৪. দীর্ঘ দূরত্বের জিনিসগুলি দেখতে সক্ষম নয়।
৫. কাছের জিনিসগুলি দেখতে সক্ষম হচ্ছে না।
৬. চোখ জ্বালা।
৭. চোখ দিয়ে পানি পরা।
৮. অধ্যয়নের সময় মাথা ভারী হওয়া।
9। অবিরাম ঠান্ডা লাগা।
আরো পড়ুন : চোখের নীচে কালো দাগ নিমেষে দূর করুন
চশমা অপসারণের ঘরোয়া প্রতিকার
১. পরিমাণ মতো বাদাম, মৌরি এবং চিনি ক্যান্ডি তিনটি নিন। এবার এটিকে গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নিন। আপনি এই পাউডারটি বেশ কয়েকটি দিন কোনও বাক্সে রাখতে পারেন। এখন প্রতি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই মিশ্রণের ১০ গ্রাম নিন এরপর ২৫০ মিলি জল দিয়ে খান। একটানা ৪০ দিন এটি করলে চোখের আলো বাড়িয়ে তুলবে এবং একই সাথে দুর্বল স্মৃতিশক্তি এবং দুর্বল মনের সমস্যাও দূর হবে। এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে এবং চশমা অপসারণের একটি দুর্দান্ত রেসিপি।
এর উল্লিখিত পরিমাণের অর্ধেক বাচ্চাকে দিন। এটি খাওয়ার পরে কমপক্ষে ২ঘন্টা আবার পানি পান করবেন না।
২. এক গ্লাস জলে ১ চা চামচ ত্রিফলা গুঁড়ো দিয়ে সারা রাত ধরে ভিজিয়ে রাখুন। এবার পরের দিন সকালে এই জল ঝেকে নিন। এবং এই জল দিয়ে আপনার চোখ ধুয়ে নিন। চোখ ধোয়ার সময় পরিষ্কার জল আপনার সাথে রাখুন। আপনি এক মাস ধরে এই উপায়টি করুন প্রতিদিন এই প্রক্রিয়াটি করেন আপনি অবশ্যই ফলাফল পাবেন।
৩. আমলার জলে চোখ ধুয়ে বা গোলাপজল যুক্ত করে চোখকে স্বাস্থ্যকর রাখা হয়।
৪. রাতে পায়ের তলগুলি সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকালের দিকে সবুজ ঘাসে খালি পায়ে হাঁটা এবং নিয়মিত এটি করলে চোখের দুর্বলতা দূর হবে।
৫. আপনার চোখ কে অক্ষত রাখতে অআখের রস পান করুন। এছাড়াও লেবুর জল পান করলে চোখের আলো সারা জীবন অক্ষত থাকে।
৬. চোখের যেকোনো ধরণের রোগের জন্য যেমন জল পড়া, চোখের দুর্বলতা ইত্যাদি, রাতে ৭ - ৮ বাদাম ভিজিয়ে রাখুন সকালে বাদাম পিষে পানিতে পান করুন।
৭. সকালে ওঠার পরে,চোখ ধুয়ে ফেলুন তার পর মাসকারার মতো আপনার চোখে লালা লাগান। এটি ৬ মাস একটানা করে চশমার সংখ্যা হ্রাস পায়।
৮. বাড়িতে বানান গরু ঘি দিয়ে প্রতিদিন চোখের ম্যাসাজ করুন ।
৯. খালি পেটে আমলার রস পান করলে চশমা দূর হয়।
১০. প্রতিদিন পালং শাক ও মেথির শাক খেলে চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওযায়।
১১. আখরোট তেল দিয়ে চোখের চারপাশে মালিশ করলে চোখের আলো বাড়ে এবং চশমা দূর হয়।
১২. প্রতিদিন গাজরের রস পান করালে চশমা থেকে মুক্তি পাবেন।
১৩. এলাচের টুকরো দুধে সিদ্ধ করে পান করলে চোখর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আরো পড়ুন : ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০ টি ঘরোয়া প্রতিকার
১৪. প্রতিদিন দু-তিনবার জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
১৫. একটি পেন্সিল নিন এবং এটি একটি বাহুর দৈর্ঘ্যে ধরে এবং ধীরে ধীরে নাকে আনুন। এবং পেন্সিলের ডগায় ফোকাস করুন। এটি করে চোখ ভাল হতে শুরু করে।
১৬. আপনার চোখটি ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘোরান এবং কয়েক সেকেন্ডের করার পর এন্টি ক্লকওয়াইজ ঘোরান এভাবে ৩ - ৪ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
১৭. নিয়মিত আঙ্গুর খান, আঙ্গুর খেলে রাতে দেখার ক্ষমতা বারে।
১৮. রাতে একটি তামার পাত্রে পানি রাখুন সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই পানি পান করাও দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
১৯. প্রতিদিন এক চামচ মধু খেলেও দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
২০. পুকুর থেকে তোলা গেরি রান্না করে খেলে দৃষ্টি শক্তি বাড়ে।
1 মন্তব্যসমূহ
[…] […]
উত্তরমুছুন