Ads

ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০ টি ঘরোয়া প্রতিকার | 10 Natural Ways to Get Rid of Blackheads


ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০ টি ঘরোয়া প্রতিকার
ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি

ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০ টি ঘরোয়া প্রতিকার 


যে কোনও বয়সের মানুষের ব্ল্যাকহেড থাকতে পারে তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি কৈশোরে দেখা যায়।


ব্ল্যাকহেডসকে ওপেন কমেডোনস ও বলা হয়ে থাকে । এগুলি সাধারণত ত্বকের কালো বা হলুদ রঙের pimples। ত্বকের অতিরিক্ত ময়লা বা ত্বকের মৃত কোষ গঠনের কারণে চুলের ফলিকগুলি বন্ধ হয়ে গেলে এগুলি ঘটে।


শরীরের হরমোনগুলির পরিবর্তন, প্রসাধনী পণ্যগুলির অত্যধিক ব্যবহার, ত্বকের দুর্বল, ত্বকের যত্ন না নেয়া , স্ট্রেস এবং জেনেটিক্সের মতো কারণেই ব্ল্যাকহেডস হতে পারে।


ব্ল্যাকহেডস প্রায়শই মুখের ত্বকে, বিশেষত নাকের উপর ঘটে। তবে এইটি শরীরে হতে পারে যেমন বুক, পিঠ, ঘাড়, বাহু এবং কাঁধের মতো অন্যান্য অংশে উপস্থিত থাকতে পারে।  যদি তাদের সময়মতো চিকিত্সা না করা হয় তবে তারা ব্রণ আকার ধারণ করতে পারে।


ব্ল্যাকহেডসের চিকিত্সার জন্য বাজারে প্রচুর ওষুধ পাওয়া যায় তবে এই গুলো ব্যবহার করার আগে কোনও প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া প্রতিকারের আগে আপনার চেষ্টা করা উচিত, কারণ এতে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।  আপনাদের রান্নাঘরে উপস্থিত কিছু সাধারণ উপাদানের মাধ্যমে আপনি কয়েক দিনের মধ্যে ব্ল্যাকহেডগুলি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।


ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এখানে কার্যকর ১০ টি ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে



১: বেকিং সোডা ব্যবহার 


বেকিং সোডা ব্ল্যাকহেডস এবং ব্রণ উভয়ই চিকিত্সার জন্য খুব কার্যকর উপাদান। এটি ত্বক থেকে ময়লা এবং মৃত কোষ দূর করতে সহায়তা করে।


একটি পাত্রে ২-৩ টেবিল চামচ জলের সাথে ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।


এবার এই পেস্টটি ব্ল্যাকহেডসে লাগিয়ে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। তারপরে এটি কয়েক মিনিটের জন্য রেখে দিন এরপর এটি শুকিয়ে গেলে তারপরে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


এই চিকিত্সা সপ্তাহে এক বা দু'বার করুন।





২: দারুচিনি ব্যবহার


দারুচিনি ব্ল্যাকহেডস নিরাময় এবং পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধে ব্যবহার করা যেতে পারে।


একটি পাত্রে এক চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো, এক চা চামচ লেবুর রস এবং হাফ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।  এবার এটি আপনার মুখের উপরে প্রয়োগ করুন এবং ১০ - ১৫ মিনিটের জন্য এটিকে রেখে দিন । শুকানোর পরে এটি ভালো করে পরিষ্কার করুন।


অথবা, এক চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো এবং এতে সামান্য মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং এটি আপনার মুখে লাগান।


ভাল ফলাফল পেতে ১০ দিনের জন্য এই চিকিত্সার প্রয়োগ করুন।


আরো পড়ুন : সৌন্দর্য রক্ষায় টুথপেস্ট এর ব্যবহার


৩: টুথপেস্ট ব্যবহার


অনেকদিনের জমে থাকা ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করা খুব ঝক্কির ব্যাপার। আর একদিনে তা কখনও দূর সম্ভব নয় ।


সেক্ষেত্রে সামান্য সাদা টুথপেস্ট নিয়ে ব্ল্যাকহেডস ওপর লাগিয়ে রাখুন  ৫-৭ মিনিট এরপর নরম একটি টুথ ব্রাশের দিয়ে আস্তে আস্তে স্ক্রাব  করে ঘষতে থাকুন।


এতে করে ত্বকের মরা চামড়া উঠে আসবে এবং এটি ব্ল্যাকহেডস গুলোকে নরম করে  দেবে ।এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে মুখ ধুয়ে ফেলুন।


এরপর ৫ মিনিট গরম জলের ভাপ নিন (Steam) এতে ব্ল্যাকহেডসের মুখ গুলো খুলে যাবে। এরপর আবারো ব্রাশ দিয়ে ঘষুন, দেখবেন খুব সহজেই ব্ল্যাকহেডস গুলো উঠে আসবে।


ভালো ফল পেতে সপ্তাহে ১ থেকে ২বার করুন।



৪: লেবুর রস ব্যবহার


ব্ল্যাকহেডস এবং পিম্পলস দূর করতে লেবুর রস ব্যবহার বেশ কার্যকারী। এতে উপস্থিত ভিটামিন এবং পুষ্টি সকল ধরণের ত্বকের জন্য উপকারী।


অর্ধেক লেবুর রস, কিছুটা মধু এবং অল্প চিনি যুক্ত করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এবার এটি আপনার মুখের উপর বিশেষ করে ব্ল্যাকহেডস দ্বারা প্রভাবিত অংশে হালকা ভাবে স্ক্রাব করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের পরে এটি ধুয়ে ফেলুন। এই চিকিত্সা সপ্তাহে এক বা দু'বার করুন।


দুধ এবং গোলাপজলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে আপনি ফেসিয়াল ক্লিনজারও পেক তৈরি করতে পারেন। ভাল ফল পেতে এটি সপ্তাহে কমপক্ষে তিনবার ব্যবহার করুন।


৫: গ্রিন টি ব্যবহার 


গ্রিন টি ব্ল্যাকহেডসের চিকিত্সার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।


অল্প জলে এক চা চামচ শুকনো গ্রিন টি যোগ করে একটি পেস্ট তৈরি করুন।


এবার এই পেস্টটি আপনার মুখে দুই-তিন মিনিটের জন্য হালকা ভাবে স্ক্রাব করুন। তারপরে হালকা হালকা গরম জল এটিকে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


এই স্ক্রাব তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কার করে এবং বন্ধ থাকা ছিদ্র খোলে।





৬: মধুর ব্যবহার


মধুর মধ্যে একটি ভারসাম্যযুক্ত গুণ রয়েছে যা তৈলাক্ত ত্বক এবং ব্ল্যাকহেড উভয়ের জন্যই খুব উপকারী। মধু ত্বকের ছিদ্রগুলিতে আর্দ্রতা সরবরাহ করে এবং পাশাপাশি  স্কিন টানটান করে তোলে । এবং মধুর মধ্যে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে যার ব্যবহার আপনার ত্বককে আলোকিত করে তোলে।


আপনার মুখের উপর খাঁটি মধু প্রয়োগ করুন এবং ১০-১৪ মিনিটের জন্য রেখে দিন।


তারপরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


 ৭: হলুদ ব্যবহার


হলুদ ত্বক মেরামত করতে এবং নিরাময় করতে সহায়তা করে, তাই এটি ব্ল্যাকহেডসের চিকিত্সায় উপকারী।


একটি পাত্রে লাল চন্দন, হলুদ এবং দুধ এই সুবিধাগুলো উপাদান মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট প্রস্তুত করুন। এবার এটি আপনার ব্ল্যাকহেডসে ওপর প্রয়োগ করুন এবং এটি ১০-১৫ ​​মিনিটের জন্য রেখে দিন।  তারপরে এটি জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।



৮:  লবণ ব্যবহার


লবণ ত্বককে পরিষ্কার করে এবং ব্ল্যাকহেডস নিরাময়ে সহায়তা করে। তেমনি তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।


হাতের তালুতে অল্প পরিমাণে নুন নিন, কয়েক ফোঁটা জল যোগ করুন  তারপরে ব্ল্যাকহেডসে ওপর  স্ক্রাব করুন ।


নুন গলে না যাওয়া পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন তারপরে হালকা গরম জলে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


 ৯:  কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার


কর্নফ্লাওয়ার একটি ডিটক্সিফায়ার হিসাবে কাজ করে যা ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে এবং ময়লা পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।


অল্প দুধ বা জলের সাথে দুই চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার  মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন।


এটি প্রয়োগ করার আগে, ত্বকের ছিদ্রগুলি খোলার জন্য মুখে গরম জলের ভাব নিন। তারপরে এই পেস্টটি প্রয়োগ করুন এবং একটি ক্লকওয়াইজ হালকা ভাবে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট পরে, ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।


আরো পড়ুন : চশমা থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়


১০: মেথি পাতা ব্যবহার 


মেথির পাতাও শিকড় থেকে ব্ল্যাকহেডস দূর করতে সহায়তা করে।


মেথি পাতা পিষে একটি পেস্ট তৈরি করুন।


এবার এটি ব্ল্যাকহেডসে ওপর প্রয়োগ করুন এবং এটি ১০-১৫ মিনিট জন্য রেখে দিন।


তারপরে হালকা হালকা গরম জলে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


ভাল ফল পেতে প্রতিদিন এই চিকিত্সা করুন।


এই ভাবেই কিছু ঘরোয়া উপাদান ব্যবহারের করে ব্ল্যাকহেডস থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।


তবে আপনার এগুলি নিয়মিত গ্রহণ করা এবং ধৈর্য ধরতে হবে তবেই ভালো ফল পাবেন। অথবা আপনি একজন ভালো চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।


বন্ধুরা প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগলো আপনার অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আরো নতুন নতুন টিপস পেতে পাশে থাকা বেল আইকনটি প্রেস করে আমাদের সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ!


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4 মন্তব্যসমূহ