Ads

পাবলিক টয়লেটের দরজার নিচে ফাঁকা রাখা হয় কেন ?| Why toilet doors don't reach the floor

পাবলিক টয়লেটের দরজার নিচে ফাঁকা রাখা হয় কেন ?



বন্ধুরা আমরা প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় এমন অনেক কিছুই ব্যবহার করি যার মধ্যে থাকা ছোটখাটো কিছু বিষয়ের ব্যবহার আমরা জানি না।

 এই ক্ষুদ্র বিষয় গুলি এমনি এমনই রয়েছে তা কিন্তু নয় এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজও আছে। কিন্তু আপনাদের মনে কি কখনো প্রশ্ন জেগেছে কেন আই ফোনের ক্যামেরার পাশে ছিদ্র থাকে, জিন্সের প্যান্টের ছোট পকেট থেকে কেন, পাবলিক টয়লেটের দরজার নিচে কেন খোলা থাকে, কেন টায়ারের চাকা কালো হয়। যদি না জেনে থাকেন তবে আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্যই। আজকে আমরা এমন কিছু বিষয় তথ্য জানাব যেগুলো আপনি একবার হলেও দেখে এড়িয়ে গেছেন।

 

💥 বন্ধুরা পাবলিক টয়লেটের দরজার নিচের কেন খোলা থাকে? 

 

বন্ধুরা পাবলিক টয়লেটের দরজার নিচের কেন খোলা থাকে। বন্ধুরা পাকৃতিক কাজকর্ম সরার সময় কখনো কি খেয়াল করেছেন আপনার টয়লেটের দরজা মেজে পর্যন্ত আটকানো থাকে। যা টয়লেটের বাইরে থেকে ভেতরকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কিন্তু পৃথিবীর কিছু উন্নত দেশে টয়লেটের দরজা গুলির নিচ ফাকা থাকে।

 বাইরের কোনো বেক্তি  টয়লেটের ভেতরে দেখতে পারে আবার ভেতরে ব্যক্তি বাইরে সবকিছু। কি কারনে কেনইবা সেখানকার টয়লেটের দরজা এমন হয়।

প্রথম কারণটি হল বন্ধ দরজার টয়লেটের নেশা বা অশালীন কর্মকাণ্ডের মত খারাপ কাজ করার সুযোগ থাকে। কারণ তখন বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারে না। কিন্তু দরজার নিচে যদি খোলা থাকে তাহলে টয়লেটে নিরাপদে এই কজ গুলি কেউ করতে পারবে না।

 

এছাড়াও পুরোপুরি বন্ধ দরজা বাথরুমে যদি কোন ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যায় অথবা অসুস্থ হয়ে আটকে যায় তাহলে তা বাইরে থেকে কারও জানার সুজক নেই। এসময়  টয়লেটের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকা মানুষের ভেতরে ব্যক্তিদের দেরির জন্য চিল্লামেল্লি করতে থাকবে। কিন্তু টয়লেটের দরজার নিচে যদি ফাঁকা থাকে তাহলে টয়লেটে আসা যেকেউ ভেতরের অসুস্থ ব্যক্তিকে নটিস করবে এবং বাইরের মানুষ তাকে বের করার ব্যবস্থা করবে। বন্ধ দরজা বাথরুমে কারো টয়লেটে পেপার শেষ হয়েগেল কিছু করার থাকে না কিন্তু খোলা দরজা বাথরুমে এমন সমস্যায় পড়তে হয় না।

 

সেখানে বাইরের কারো কাছে টয়লেট পেপার চেয়ে নিচ দিয়ে নিতে পারে। বন্ধুরা বন্ধ দরজা লক হয়ে একবার আটকে গেলে বের হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।

কিন্তু দরজার নিচে যদি খোলা থাকে তাহলে এর নিচ দিয়ে খুব সহজেই বেরিয়ে আসা যায়। পুরোপুরি বন্ধ টয়লেটের ভেতরে ব্যক্তির কাছে বাইরের কোন কোলাহল পৌঁছায় না তাই তখন সে নিশ্চিন্তে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে। আর এর জন্য বাইরে থাকার ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় কিন্তু খোলা দরজার টয়লেটের ভেতরে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করার সুযোগ পায় না।

 

 

💥 জিন্সের প্যান্টের ছোট পকেট থাকে কেন? 

 

 জিন্সের প্যান্টের ছোট পকেট থাকে কেন বন্ধুরা জিন্সের প্যান্টের পরার সময় কখনো কি খেয়াল করেছেন।

সাধারণত জিন্স প্যান্টের সামনে দুটি পকেটে থাকে তার ওপরে একটা ছোট পকেট থাকে। কখনো কি ভেবে দেখেছেন জিন্স প্যান্টের এই ছোট পকেটের কাজ আসলে কি কিংবা কেন এটি রাখা হয়েছে।

অনেকে বলে থাকেন কয়েন রাখার জন্য এই প্যাকেটের ব্যবহার করা হয় কেউ কেউ মনে করেন ডিজাইনের ভিন্ন মাত্রা আনতে দেওয়া হয়েছে এই পকেট।

 

কিন্তু এর আসল রহস্য 18 শতকের কাউবয়েরা চেইন দেওয়া ঘড়ি ব্যবহার করত তারা তাদের ঘরি রাখতো ওয়েস্ট কোটে।  কিন্তু সে ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই ঘরি ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকতো। ঘরিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য তখন থেকে জিন্সের প্যান্টের যোগ করে দেয়া হতো এই ছোট পকেটি।

পকেটে ঘরি রেখে বেল্টর সঙ্গে চেন বেঁধে রাখতো। বিশ্ব বিখ্যাত ব্র্যান্ড লেবেস প্রথমেই এই পকেট চালু করেছিল এখন অবশ্য সেই ঘরির চল নেই।

তবে ঐতিহ্য বজায় রেখে এখনো প্যান্টের ছোট পকেট রাখা হয়।

 

আরো পড়ুন: সৌন্দর্য রক্ষায় টুথপেস্ট এর ব্যবহার


 

💥 টায়ারের চাকা কেন কালো হয়? 

 

টায়ারের চাকা কেন কালো হয় বন্ধুরা কখনো কি ভেবে দেখেছেন গাড়ির চাকার রং কালো হয় কেন। গাড়িতো ভিন্ন রঙের হয় তাহলে টায়ারের কেন অন্য রঙের হয় না ইতিহাস বলছে টায়ারের রং পুরবে সাধা ছিল তাহলে হঠাৎ এই  রং বদল হল কেন।

টায়ার তৈরি হয় রবার দিয়ে যার রং হয় হালকা দূষোর আর টায়ার মজবুত করতে আগে এর সঙ্গে মেশানো হতো জিংক অক্সাইড যার ফলে  টায়ার হয়ে যেত সাদা।

কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বুলেট তৈরী করতে প্রয়োজন হয়েছিল প্রচুর পরিমাণে জিংক অক্সাইড এর।

 

তাই টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি একরকম বাধ্য হয়েই তারপর কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু করেন। কার্বন ব্ল্যাক  হলো মৌলিক কার্বন  যা গ্যাস বা তেলের অসম্পূর্ণ জলনের  ফলে সৃষ্টি হয় এটি টরকে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে যার ফলে অতিরিক্ত গরমেও টায়ার ফেটে যায় না। টাওয়ার তইরি কোম্পানিগুলোর দাবি আগে যেসোব টায়ারে কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার করা হতো না সেগুলো 5000 কিলোমিটার

পর্যন্ত ভালো অবস্থায় চোলতো। কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু করার পর টায়ারে গুলো এখন চলে প্রায় 50 হাজার কিলোমিটার। বর্তমানে টায়ারে প্রস্তুত করতে 70 শতাংশ কার্বন ব্যবহৃত হয় যার ফলে তার রং কালো হয়ে যায়।

 

💥 আইফোনে কমেরার পাশে ছিদ্র থাকে কেন? 

 

আইফোনে কমেরার পাশে ছিদ্র থাকে কেন আপনারা অনেকেই হয়তো আইফোন ব্যবহার করেছেন।

তাহলে নিশ্চিত খেয়াল করেছেন কেমরা এবং ফ্ল্যাশসের মাঝখানে ছোট্ট একটি ছিদ্র থাকে কিন্তু এটা কি জানেন। ক্যামেরা আর ফ্ল্যাশের মাঝখানে এই ছোট ছিদ্রটি কেন রাখা হয় বন্ধুরা আইফনের শুরু থেকে কেমেরা আর ফ্ল্যাশের মাঝখানে এই ছিদ্র টি থাকতো না।

মূলত আইফোন 5 লঞ করার পর থেকেই আইফোনের নতুন কায়দা টি শুরু হয়। প্রকৃতপক্ষে এই ছোট্ট ছিদ্রটি একটি মাইক্রোফোন যা রেয়ার মাইক্রোফোন নামে পরিচিত। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই এই মাইক্রোফোন আপনার কথা শুনে রেকর্ড করে ফলবেনা। এই রেয়ার মাইক্রোফোনের কাজ হলো ছবি তোলার সময় যাতে বাইরের কোন সত্য না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখা।

 লক্ষ্য করে দেখে থাকবেন যে আইফোনে ভিডিও কল অথবা ভয়েস রেকর্ড করলেন সাউন্ড খুব পরিষ্কার শুনতে পাওয়া যায়। মূলত এই মাইক্রোফোনটির কারণে বাইরের শব্দ খুব একটা আসে না।

 

 বন্ধুরা আমাদের প্রতিবেদনটি কমন লাগল কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। এবং নতুন নতুন পোস্ট পেতে অবশ্যই পাশে থাকা বেল বাটন টি ক্লিক করে আমাদের সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ!

 

আরো বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন।

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ